BLOGGER TEMPLATES - TWITTER BACKGROUNDS »

Thursday 3 December 2009

কাউন্সিল সামনে রেখে আলোচনায় তারেক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে দলের ‘কো-চেয়ারপারসন’ করা বা তাঁর জন্য অন্য কোনো পদ সৃষ্টির ব্যাপারে দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে দাবি উঠেছে। তবে এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনো কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি প্রথম আলোকে বলেন, কো-চেয়ারপারসন পদ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এটি চূড়ান্ত কোনো বিষয় নয়। তিনি জানান, সে ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হবে। কাউন্সিলে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব আসবে কি না, তা বলার সময় আসেনি।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার কথা শুনেছি, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
কাউন্সিলের আগে তারেক রহমানকে দেশে আনার ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সে উদ্যোগ সফল হয়নি। এখন ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল সামনে রেখে দলে তাঁর জন্য নতুন পদ সৃষ্টি করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
গত ১৭ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্রে কো-চেয়ারপারসন নামে কোনো পদ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। তিনি বলেন, দলের কোনো কোনো অংশ, বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের নেতারা আগামী কমিটিতে তারেক রহমানকে এমন একটি পদে দেখতে চান। সেই অবস্থান থেকেই আগামী কাউন্সিলে এ ধরনের একটি পদ সৃষ্টির কথা আলোচনায় আসছে।
স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এ ধরনের একটি পদ সৃষ্টির আগে নেতা-কর্মীদের মনোভাব বিবেচনায় আনতে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা এ নিয়ে আপত্তি করবেন না। তাঁরা বলেন, যুগ্ম মহাসচিব পদে থেকে ভবিষ্যতে সরাসরি বিএনপির চেয়ারপারসন পদে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেওয়াটা দৃষ্টিকটু। এ জন্য খালেদা জিয়ার কাছাকাছি একটি পদে তারেক রহমানকে রাখতে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে তারেক রহমানকে বিএনপির চেয়ারপারসন পদে মেনে নেওয়া সহজ হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের একটি প্রস্তাবের কথা শোনা যাচ্ছে। তবে স্থায়ী কমিটিতে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি আলোচনায় আসছে। কিন্তু কীভাবে বা কোত্থেকে এ ধরনের প্রস্তাব এল, তা কেউ জানে না।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, তারেক রহমানকে নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার বিষয়ে যুবদলের নেতারা সব সময়ই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে বলে আসছেন।
বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনসংক্রান্ত খসড়া উপকমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম মহাসিচব নজরুল ইসলাম খান বলেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনসংক্রান্ত যে ৪৪টি প্রস্তাব তৃণমূল নেতারা দিয়েছিলেন, সেখানে এমন কোনো প্রস্তাব ছিল না।
অপর যুগ্ম মহাসচিব গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আলোচনার কথা শুনেছি, কিন্তু এ বিষয়টি আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়।’
কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তারেক রহমান জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে চিকিত্সার জন্য যুক্তরাজ্যে আছেন। অসুস্থতার কারণে তিনি আগামী কাউন্সিলে কোনো পদে থাকবেন না বলে কিছুদিন আগেও কেন্দ্রীয় নেতারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তবে দলের বিভিন্ন স্তরে তারেককে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
বর্তমানে তারেক রহমান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হলেও গঠনতন্ত্রে এ ধরনের কোনো পদ ছিল না। তবে পরে সংশোধনীতে এ পদটি সংযোজন করা হয়।

 নতুন কাঠামোয় বকেয়া বেতন তোলা যাবে রোববার থেকে

নতুন কাঠামো অনুযায়ী বকেয়া বেতন আগামী রোববার থেকেই তুলতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী গত জুলাই থেকে হিসাব করে যত টাকা বকেয়া রয়েছে, তার একটি বিল সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ দপ্তরে জমা দিতে হবে। এরপর ওই দপ্তর থেকে বেতনের চেক দেওয়া হবে তাঁদের। তবে কে কত টাকা পাবেন, তা নির্ধারণের কাজটি করতে হবে চাকরিজীবীদের নিজ দায়িত্বে।
এদিকে জাতীয় বেতনকাঠামো ২০০৯ এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতনকাঠামো ২০০৯-এর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ থেকে আজ বৃহস্পতিবার ‘চাকরী (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০০৯’ নামে এ ব্যাপারে একটি আদেশ জারি করা হয়।
নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন চার হাজার ১০০ টাকা মূল বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে নতুন মূল বেতন দেওয়া হলেও বিভিন্ন প্রকার ভাতা কার্যকর হবে ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে।
সরকারি ও সরকারি অনুদানভুক্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরাও এই বেতনকাঠামোর আওতায় আসবেন। এর আগে ২০০৫ সালে সর্বশেষ বেতনকাঠামো ঘোষণা করা হয়। সে সময়েও তিন বছরে পুরো বেতন-সুবিধাদি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
নতুন বেতনকাঠামো কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বাতিল হয়ে গেছে মূল বেতনের সঙ্গে আগে দেওয়া ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা।
তবে নতুন কাঠামোতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কমপক্ষে দুই হাজার টাকা বাড়বে। যদি কোনো কারণে এর চেয়ে কম হয়, তাহলে তা সমন্বয় করে দুই হাজার টাকা পুরিয়ে দেওয়া হবে।
এবার অবসরভোগী ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের পেনশনের পরিমাণ ৫০ শতাংশ এবং এর চেয়ে কম বয়সীদের ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
গেজেট অনুযায়ী, ২০ নম্বর গ্রেড থেকে ১০ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত নন-গেজেটেড সরকারি কর্মচারীরা সমগ্র চাকরিজীবনে তিনটির বেশি টাইমস্কেল পাবেন না।
অর্থ বিভাগের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, এখন প্রত্যেক চাকরিজীবী নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করবেন। নিজ দায়িত্বেই এটি করতে হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নির্ধারণের কাজটি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে